Posts in Technology

ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের এইতো সময় জানিয়ে দিন শিখিয়ে দিন

প্রয়োজন থেকেই উদ্ভাবন। পারিনা বলেই তো প্রশিক্ষণ। বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সুবিধাগুলোর অভ্যস্ত করানোর এইতো সময়। অনলাইনে ড্রেস ক্রয়, দরকারি পণ্যের অর্ডার করা বা প্রতিদিনকার বাজার করতে মানুষ অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে। তবে সংখ্যাটা খুব কম। মানুষের মাঝে ভয় বা শংকা আছে ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অ্যাপসভিত্তিক ব্যাংকিংকে নিয়ে। ভয় কাটানোর দায়িত্ব ব্যাংকগুলো নিতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা সময়ে দাবী। ইউটিউবভিত্তিক ২০/৩০ সেকেন্ডের প্রচুর ভিডিও ক্লিপিংস তৈরি করা দরকার। মানুষকে শিখিয়ে দিন। জানিয়ে দিন। যত বেশি জানবে তাদের ভয় কাটবে। কার্ডসেবায় মানুষকে অভ্যস্ত করিয়ে সেবাকে আরও বেশি গতিশীল বা সুবিধাজনক করা যায়। অ্যাপসভিত্তিক সেবার ব্যাপক প্রচার দরকার। টার্গেট থাকতে পারে, কমপক্ষে ৮০ শতাংশ গ্রাহক আইটি বেইজড প্রোডাক্ট ব্যবহারে অভ্যস্ত হবে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে। তাদেরকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের। ব্যাংকার অথবা পারদর্শী গ্রাহকরা তাদের বন্ধু-বান্ধব বা স্বজনকে এক্ষেত্রে আগ্রহী করতে পারেন।

প্রযুক্তিকে বন্ধুকে বানাই

প্রতিদিন নতুন টেকনোলজি আসছে। এইগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আমাকে, আপনাকে, সকলকে। সেভাবে প্রস্তুত হতে হবে। ইউটিউট ঘেটে এর ব্যবহার জানতে হবে অথবা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান হতে ট্রেনিং নিতে হবে। একসময় ছিল টেলিফোন, তারপর ফিচার ফোন, টাচ ফোন, এখন স্মার্ট ফোন। প্রত্যেকটি টেকনোলজিতে অভ্যস্ত হতে হবে,user friendly হতে হবে। আজ প্রযুক্তিকে দূরে ঠেলে দিলে, প্রযুক্তিও আপনাকে দূরে ঠেলে দেবে। তবে অফিসে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ অফিসের প্রোডাক্টিভিটিতে (productivity) প্রভাব পড়ে।

একইসাথে আপনার ক্যারিয়ারেও । আপনার কলিগই বসকে রিপোর্ট করবে আর বসের নিকট আপনার ত্রুটি বলে সে ক্রেডিট নিবে। আপনি তাকে সে সুযোগ দিতে পারেননা।

প্রযুক্তিকে বন্ধু বানাই- জানতেই হবে কীভাবে প্রোগ্রামিং করতে হয় (২য় পর্ব)

আসুন সন্তানদেরকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহ তৈরি করে দিই। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরিবেশের সাথে পরিচিত করাই। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো, প্রথম আলোর উদ্যোগে স্কুল-কলেজ ছাত্রদের নিয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। যে ফেইসবুক এর মাধ্যমে আমরা সকলে কানেক্টটেড তার উদ্ভাবক সম্পর্কে আমরা কম- বেশি সকলে জানি। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নিয়ে মার্ক জাকারবার্গের আগ্রহের শুরু তার স্কুল জীবন থেকেই। তিনি তার বাবার কাছ থেকে শেখেন এটারি বেসিক ল্যাঙ্গুয়েজ এবং তারপর সফটওয়্যার ডেভলপার ডেভিড নিউম্যানের কাছে প্রাইভেট ক্লাস করেন।
তিনি একটা দামি উপদেশ দিচেছন এইভাবে-’আমার সব বন্ধু যাদের কমবয়সি ভাই-বোন আছে, যারা কলেজ বা হাইস্কুলে যাচ্ছে – আমার এক নাম্বার উপদেশ হচ্ছে, তোমাকে জানতেই হবে কীভাবে প্রোগ্রামিং করতে হয়’।