Posts in Personal Growth

চলুন নিজেকে উপস্থাপন করি

অফিসে অনেক ট্যালেন্ট লোক আছেন যারা একইসাথে দায়িত্বশীল, প্রচুর কাজ করেন কোনরূপ অলসতা না করে । যথাসময়ে অফিস ত্যাগ করতে গেলে বস রেগে যান। বস জানেইনা আপনি সারাদিন কী করেছেন? এজন্য বসের রুমে প্রবেশ করুন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করুন, আইডিয়া শেয়ার করুন। হয়ত , আপনি যে প্রক্রিয়ায় কাজটি করেছেন, বসও সেভাবেই ভাবছেন। এতে বস খুশি হবে। নিজেকে উপস্থাপনও করা হবে। তবে হ্যাঁ কাজ না করে শুধু উপস্থাপন করলে একদিন ফাঁকি ধরা পড়ে যাবে। এতে হিতে বীপরীত হতে পারে।

৩০ মিনিট পূর্বেই অফিসে

চিন্তা করুন, আপনি অফিসের বস অথবা কোম্পানির মালিক। আপনার অধীনস্থ কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২০/৩০ মিনিট দেরি করে আসেন। আবার দিনশেষে ১ ঘন্টা অতিরিক্ত কাজ করেন, এটা কি আপনার খুব পছন্দ হবে? নাকি আপনার ইমপ্লয়ি অফিস টাইমের ৩০ মিনিট পূর্বে এসে উপস্থিত হলে বেশি খুশি হবেন? মনে রাখবেন অফিসে পৌছানোর ব্যাপারে সময়ানুবর্তিতা থাকা ক্যারিয়ারের জন্য জরুরি। অনেকে বলতে পারেন, আগে অফিসে এলে, বস দেখামাত্র কাজ ধরিয়ে দিতে পারে। এটি তো ভালো। আপনি বসের নিকটবর্তী হলেন। প্রমোশনে এগিয়ে গেলেন। আর যদি বস কাজ নাও দেয় তাহলে আপনি নিজের মতো করে সারাদিনের প্লান করলেন। অবশ্য অফিসের বেশিরভাগ ইমপ্লয়ি তো ১৫ মিনিট পূর্বেই হাজির হোন। আপনি না হয় অতিরিক্ত আরো ১৫ মিনিট পূর্বে হাজির হলেন। ।ব্যতিক্রম আপনাকে হতেই হবে।

প্রযুক্তিকে বন্ধুকে বানাই

প্রতিদিন নতুন টেকনোলজি আসছে। এইগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আমাকে, আপনাকে, সকলকে। সেভাবে প্রস্তুত হতে হবে। ইউটিউট ঘেটে এর ব্যবহার জানতে হবে অথবা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান হতে ট্রেনিং নিতে হবে। একসময় ছিল টেলিফোন, তারপর ফিচার ফোন, টাচ ফোন, এখন স্মার্ট ফোন। প্রত্যেকটি টেকনোলজিতে অভ্যস্ত হতে হবে,user friendly হতে হবে। আজ প্রযুক্তিকে দূরে ঠেলে দিলে, প্রযুক্তিও আপনাকে দূরে ঠেলে দেবে। তবে অফিসে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ অফিসের প্রোডাক্টিভিটিতে (productivity) প্রভাব পড়ে।

একইসাথে আপনার ক্যারিয়ারেও । আপনার কলিগই বসকে রিপোর্ট করবে আর বসের নিকট আপনার ত্রুটি বলে সে ক্রেডিট নিবে। আপনি তাকে সে সুযোগ দিতে পারেননা।

প্রযুক্তিকে বন্ধু বানাই- জানতেই হবে কীভাবে প্রোগ্রামিং করতে হয় (২য় পর্ব)

আসুন সন্তানদেরকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহ তৈরি করে দিই। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরিবেশের সাথে পরিচিত করাই। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো, প্রথম আলোর উদ্যোগে স্কুল-কলেজ ছাত্রদের নিয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। যে ফেইসবুক এর মাধ্যমে আমরা সকলে কানেক্টটেড তার উদ্ভাবক সম্পর্কে আমরা কম- বেশি সকলে জানি। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নিয়ে মার্ক জাকারবার্গের আগ্রহের শুরু তার স্কুল জীবন থেকেই। তিনি তার বাবার কাছ থেকে শেখেন এটারি বেসিক ল্যাঙ্গুয়েজ এবং তারপর সফটওয়্যার ডেভলপার ডেভিড নিউম্যানের কাছে প্রাইভেট ক্লাস করেন।
তিনি একটা দামি উপদেশ দিচেছন এইভাবে-’আমার সব বন্ধু যাদের কমবয়সি ভাই-বোন আছে, যারা কলেজ বা হাইস্কুলে যাচ্ছে – আমার এক নাম্বার উপদেশ হচ্ছে, তোমাকে জানতেই হবে কীভাবে প্রোগ্রামিং করতে হয়’।

অর্গানাইজড হই-অধিকতর প্রাইয়োরিটি গুলো ঠিক করি

আসুন অর্গানাইজড হই। বিশৃংখলভাবে কাজ করে অর্জন করা কঠিন। আমরা অর্গানাইজড হয়ে জন্ম নিইনা। এই স্কিল অর্জন করতে হয়। অর্গানাইজড লোকগুলোর সময়ও নষ্ট কম হয়। আপনার সময় এবং সম্পদকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারবেন যদি আপনি অর্গানাইজড হন। বেটার অর্গানাইজড হতে অধিকতর প্রাইয়োরিটি গুলো ঠিক করুন এবং নজর দিন সেদিকে। কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পরে করুন। সহকর্মীরা চাইবে গল্প করতে, বন্ধুরা সময় চাইবে। কিন্তু আপনার রুটিন আপনি নিয়ন্ত্রন করুন।

কর্পোরেট অফিসের হ্যান্ডশেক

নতুন চাকরি। ছেলেটির ঢাকার বাহিরে পোস্টিং হয়। ৩ বছর শেষে হেড অফিসে ট্রান্সফার। ছেলেটির আনন্দের শেষ নেই। কোম্পানির হেড অফিসে বড় বড় স্যারদের সান্নিধ্যে নতুন নতুন বিষয় শিখবে। জয়েন করলো। বড় স্যারের দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিলো। মানে হ্যান্ডশেক। স্যার পদমর্যাদায় নিজেকে অনেক বড়কিছু ভাবলেন। বললেন, হ্যান্ডশেক করার কি আছে। যাও কাজ শুরু কর। ছেলেটি অপমানবোধ করলো। মনে রাখলো অনেকদিন। সময় বয়ে যায়। বড় স্যার রিটায়ারমেন্টে গেলেন। মাঝে মাঝে পূর্বের অফিসে আসেন। একদিন ঐ ছেলেটির দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন। মানে হ্যান্ডশেক। ছেলেটির পূর্বের ঘটনা মনে পড়লো। সেদিন সে হাত বাড়িয়েছিলো। কিন্তু বড় স্যার সৌজন্যতা দেখাননি।

ছেলেটি মনস্থির করলো,আজ আমিও হাত বাড়াবোনা। দেখি স্যারের কেমন ফিল হয়। ছেলেটি ব্যস্ত বলে স্যারকে এড়িয়ে গেলো। বড় স্যার উপরের মহলকে গল্পে গল্পে জানালেন, এত কষ্ট করলাম এই কোম্পানির জন্য। এখন কেউ ঠিকমতো চেনেইনা। প্রিয় পাঠক দু’টি ঘটনাটির কোনোটিই নিশ্চয়ই কাম্য নয়। দুটো হ্যান্ডশেক হতে পারতো।
তবে কর্পোরেট হ্যান্ডশেক নিয়ে ঘাটাঘাটি করে যেটা পেলাম, বড় পদবির মানুষ হ্যান্ডশেক অফার করবে। আর ছোট পদবির মানুষ হ্যান্ডশেক অফার করলে বড়দের উচিত সৌজন্যতা দেখিয়ে হ্যান্ডশেক করা।
– ——-সেই ত মহান লিডার- যে আগে হাতটি বাড়িয়ে দেয় জুনিয়ররে দিকে। তাতে জুনিয়রের মনটা বড় হয়ে যায়, কাজে উদ্যমতা আসে। বান্না হাসান,ব্যাংক কর্মকর্তা