Posts in Personal Growth

হাল ছেড়োনা বন্ধু

বাচ্চাদের নিয়ে করা সার্ফ এক্সেলের অ্যাডে একটা ডায়লগ চমৎকার লাগে। কি সেটা? ‘আজ হেরেছি তো কী হয়েছে? কাল জিততেও পারি’। ৫টা ম্যাচ হেরে বাচ্চাদের উপর অভিমান করে কোচ প্রাকটিস করাবেন না বলে ঘোষণা দিলে বাচ্চাদের মন খারাপ হয়। আর তখন এক বাচ্চা ডায়লগটি দেয়। অবশ্যই প্রেরণাদায়ক কথা।


জ্যাক মা বলেন, আপনি যদি হাল ছেড়ে না দেন তাহলে এখনো আপনার সুযোগ আছে, ছেড়ে দেওয়াই হলো সবচেয়ে বড় পরাজয়। জ্যাক যখন আলীবাবা ও আলী পে সার্ভিস শুরু করেন তখন তার ঘনিষ্ঠজনেরা বলতেন তোমার সফল হওয়ার সম্ভাবনা জিরো। সকল ‘না’ চিন্তাকে দূরে ঠেলে তিনি লেগে থাকলেন। আলী পে -এর রেজিস্টার্ড ইউজার এখন ৪০০ মিলিয়ন, লেনদেন হয় প্রতিদিন ১৭৫ মিলিয়নেরও বেশি, যা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। জ্যাক মা-এর ভালবাসার একটা লাইন হলো “আজকের দিনটি কঠিন, আগামীকাল হবে আরও কঠিন কিন্তু পরের দিনটি হবে সুন্দর, আপনার বেশিরভাগ প্রতিভা আগামীকালকে অতীত হতে দেবেনা” (“Today is hard. Tomorrow will be worse. But the day after that will be beautiful. Most of your talent won’t make it past tomorrow”)

তার মতে -‘চ্যালেঞ্জ আলিঙ্গন করা ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক কথা। যখন আমি উদ্যোক্তা হওয়ার জার্নি শুরু করি’ তখন থেকেই এটি শিখেছি।’ ভবিষ্যত সম্পর্কে জ্যাকের এইরূ অধ্যাবসায় এবং আশাবাদী দর্শন এসেছে তার জীবন থেকে যখন তিনি শুধু প্রত্যাখাত হচ্ছিলেন।

নাছোড় বান্দার বিকল্প উপায়

কখনো কখনো আমরা অল্পতেই দমে যাই। স্বাভাবিকভাবে কোন কাজ সম্পন্ন না হলে আমরা হাল ছেড়ে দেই। বিকল্প পথ অনুসন্ধান করিনা।

ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়, আমেরিকার একজন বিলিওনিয়ার H. Ross Perot এর ইচ্ছে হল ভিয়েতনামে বন্দী আমেরিকানদের ক্রিস্টমাস উপহার দিবেন। এজন্য কয়েক হাজার প্যাকেট করা হল । শিপিং এর জন্য প্রস্তুত প্যাকেটগুলো। হ্যানয়ে ডেলিভারি করার জন্য তিনি নিজস্ব বোয়িং বিমান নিয়ে যেতে চাইলেন। কিন্তু চলমান যুদ্ধের কারনে তিক্ততা এমনই যে, হ্যানয় সরকার এ বিষয়ে সম্মত হলনা। যখন আমেরিকা তাদের শহর-গ্রাম ধ্বংস করছে, তখন তাদের নিকট থেকে কোন চ্যারিটি গ্রহণ সম্ভব নয়। বিলিওনিয়ার প্রস্তাব দিল যে, আমেরিকান কন্সট্রাকশন ফার্মের মাধ্যমে সেসব নির্মাণ করে দেয়া হবে। হ্যানয় অথোরিটি রাজি হলোনা।

ক্রিস্টমাসের সময়ও কাছাকাছি চলে আসল। উপহারের প্যাকেটগুলো পাঠানো গেলনা। তাতে কিন্তু তিনি দমে গেলেননা। বিকল্প উপায় খুঁজতে লাগলেন। ভাবলেন ভিন্ন দেশ থেকে মেইল করলে কেমন হয়! যেই ভাবা সেই কাজ। তিনি নিজস্ব প্লেন নিয়ে রাশিয়ার মস্কোতে অবতরণ করলেন। মস্কোর সেন্ট্রাল পোস্ট অফিস থেকে উপহারগুলো ভিয়েতনামের ঠিকানায় মেইল করলেন। মজার ব্যাপার, এ প্যাকেটগুলো ইনটেক্ট অবস্থায় ডেলিভারি হয়েছিল।

প্রচেষ্টা ছাড়াই H. Ross Perot উপহার পাঠানোর উদ্যোগ বাতিল করতে পারতেন। বেচারা নাছোড় বান্দা। । বিকল্প উপায় বের করেই উদাহরণ তৈরি করলেন।

পরিবর্তনের সাথে অ্যাডপ্ট হওয়াটাই যথেষ্ট নয়

বিশ্বজুড়ে প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রিতে মেশিন চাকরি করছে। শুধু করছেনা মেশিনগুলো দক্ষতার সাথে নিপুণভাবে কাজ করছে। যেকাজগুলো আগে মানুষ করতো। আমরা ক্রেডিট কার্ডে টাকা তুলছি। মেশিনে টাকা জমা হচ্ছে। হোয়াটস অ্যাপে ব্যাংকিং তথ্য জানছি। ডাক বিভাগের জায়গায় ই-মেইল রিসিভ করছি চোখের পলকে। অথচ কেউ কেউ এই পজিশনগুলোতে চাকরি করতো। পরিবর্তনের সাথে অ্যাডপ্ট হওয়াটাই যথেষ্ট নয়। আমাদের এমন কোন উপায় বা পথ খুজে বের করতে হবে যেটি সহজে অটোমেটেড করা যাবেনা। প্রতিনিয়ত লার্নিং এর মধ্যে থাকলে আমরা নতুন উপায়ের খোঁজ পেতে পারি। আরও বেশি এক্সপার্ট হতে পারি। কিছুক্ষেত্রে আপনি চাকরি পালটাতে পারেন। কিন্তু আজকের প্রয়োজনীয় দক্ষতা সামনের দিনগুলোতে অপ্রয়োজনীয় হয়ে যেতে পারে। সুতরাং ‘অনলি লারনিং’ আমাদেরকে পথ দেখাতে পারে।

আপনিও একজন ব্রান্ড ম্যানেজার

বিশ্বখ্যাত বড় কোম্পানিগুলো ব্রান্ড উন্নয়নে এমপ্লয়িদের মাঝে ইমোশনাল এনগেইজমেন্ট তৈরি করে। সকল লাক্সারিয়াস হোটেলে দামি বেড, ফার্নিচার, বড় টিভি ইত্যাদি থাকে। এটি সকলেই এক্সপেক্ট করে। এগুলোই বেসিক বিষয়। কিন্তু The Ritz-Carlton Hotelএকটু ভিন্নভাবে চিন্তা করলো। হোটেলের brand উন্নয়নে এমপ্লয়িদের মধ্যে ইমোশনাল এনগেইজমেন্ট আনতে হবে এবং ক্লায়েন্টদেরকে ভিন্নরকম এক্সপেরিয়েন্স দেয়া প্রয়োজন। ২০০৬ সালে তারা নতুন সার্ভিস রুল বা গাইডলাইন তৈরি করলো এবং বাস্তবায়নে নেমে পড়লো। তাদের উল্লেখযোগ্য কিছু সার্ভিস পলিসি হল:
১. আমি এমপ্লয়ি হিসেবে ক্লায়েন্টের জন্য ইউনিক কিছু করার দক্ষতা অর্জন করেছি (সার্ভিস দিবার সময়)
২. প্রতিদিনকার কাজ কী, আমি সেটা বুঝতে পারি
৩. আমি নিজেই ক্লায়েন্টের সমস্যা সমাধান করতে পারি
৪. কাজের পরিকল্পনায় আমি নিজেই ইলভলব্ বা সম্পৃক্ত হই (involvement গুরুত্বপূর্ণ শব্দ)
ফলাফল চমৎকার। একবার কোন গেস্ট এই হোটেলের এক্সপিরিয়েন্স গ্রহণের পর সাধারণত অন্য হোটেলে থাকার কথা চিন্তা করেনা। সুতরাং কোম্পানির ব্রান্ড উন্নয়নে প্রত্যেকেই অংশ নিই, অবদান রাখি। সেবাকে কতটা এক্সিলেন্স লেভেলে নেওয়া যায় সে চেষ্টা করি।

সবাই দেখছে

লোকে আপনাকে সার্বক্ষণিক দেখছে। বহু চোখ আপনার উপর। আপনি যদি লিডার হন, লোকে আপনাকে মিনিটে মিনিটে সাইজ করছে। আবার কখনও কখনও আপনাকে দেখে শিখছে। প্যান্টের ময়লা পকেট কিংবা শার্টের ময়লা কলারও আপনার রুচি প্রকাশ করছে। আপনার অ্যাপিরিয়েন্স আপনার কোম্পানির লোগোকে প্রেজেন্ট করে। আপনি কি ধরণের পোশাক পরেছেন-মানুষ খেয়াল করছে এবং এই বিষয়ে আপনার বসও লিগ্যালি আপনাকে কিছু বলবেনা।
ফিজিক্যালি আপনি কিভাবে পরিচালিত হবেন, আপনার ম্যানার কিরূপ হবে, কিভাবে চোখ দিয়ে তাকাবেন, কখন মাথা ঝাকাবেন, ভয়েস কতটা মৃদু হবে। হ্যা কিছু বিষয় আল্লাহ প্রদত্ত। যেমন:আপনার উচ্চতা, কালার, সৌন্দর্য । আপনি কিভাবে এগুলোকে সুন্দরভাবে ব্যবহার করবেন,সিদ্ধান্ত আপনার। কসমেটিক বিশ্বে একটি বিখ্যাত কথা হল- There are no ugly women, only lazy ones.

চিরসাথী জীবনসাথী

ভাই আপনার ওয়াইফ তো আমার ওয়াইফের নিকট বোনাসের কথা বলে দিয়েছে। আপনি বুঝি এইসব ভাবীর কাছে বলেন। আমি তো কখনও বলিনা। আপনার ওয়াইফ বলছে, ভাবী এবার বোনাস দিয়ে ভাই আপনাকে কি গিফট দিবে। আমি তো অবাক। এটা আবার শুনলো কেমনে। ভাবছিলাম কিছু ঋণ শোধ দিবো। বাচ্চদের স্কুলে ভর্তি করাবো। আর কিছুটা সঞ্চয় করবো। এখন তো পুরো প্লান আউলাইয়া গেল।
সাকসেসফুল বিজনেস লিডারদের পেছনে লাইফ পার্টনারের (স্বামী/স্ত্রী) যথেষ্ট ভূমিকা থাকে। দু’জন মিলে একটা চমৎকার টিম। তার কথা শুনুন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে তাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জানেন কোন বিষয়টি আপনাকে সুখী করবে। তিনি আপনার পরিপূর্ণ আস্থা এবং লাইফ কোচ। কোন ড্রেসে আপনাকে ভালো মানাবে? কর্পোরেট প্রেজেন্টেশনে কিভাবে কথা বলবেন, সাউন্ড কতটা উচু করবেন, কখন হাসবেন। রিহার্সালের সময় তাকে সাথে রাখুন। বিজনেস ইস্যুগুলো শেয়ার করুন। সাংসরিক আয়-ব্যয় শেয়ার করুন। তার নিকট থেকেও সুন্দর আইডিয়া আসতে পারে। আশা করা যায় পারস্পরিক শেয়ারের মাধ্যমে সুন্দর সম্পর্কটি আরও বেশি সুন্দর হবে।

রিজাইন দেয়ার পূর্বে

নাজমুল সাহেব বর্তমান দায়িত্ব নিয়ে বেশ বিরক্ত। কোম্পানিকে তার পক্ষে আরও বেশি দেয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু ভালো দায়িত্ব পাচ্ছেননা। একই পদবীতে অনেক দিন। রিজাইন দিতে তার ইচ্ছে হয়। কিন্তু পরিচিত পরিবেশ ছাড়তে মনও সায় দেয়না।
লোকে যখন চাকুরির অফার পায় তখন বর্তমান চাকুরি ছেড়ে দেয়। কারণ অন্য কোম্পানিতে ভাল স্যালারি বা দায়িত্ব পেতে আগ্রহী হয়। তবে বর্তমান চাকুরি ছেড়ে দেয়ার পূর্বে বর্তমান দায়িত্ব নিয়ে আপনার বসকে অবহিত করুন । আপনি তাকে জানান আপনি এখানে আর একটু উন্নতি আশা করেন। বৃহৎ দায়িত্ব পেতে চান। হয়ত আপনার ব্যাপারে ভালো কোন চিন্তা কর্তৃপক্ষ করতে পারেন। অফার হাতে রেখেই আপনি কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন। আপনি যদি দায়িত্বশীল বা ত্যাগী অফিসার হন, বর্তমান বস আপনাকে হারাতে চাইবেনা। আপনি নতুন কোন ভাল দায়িত্ব পেতে পারেন।

মিথ্যার বেসাতি

ছোটবেলায় হাতের লিখা সুন্দর করতে হোম টিউটর যে কটি লাইন বেশি লিখত তার মধ্যে ছিল Don’t tell a lie । টিউটর একদিকে নীতি শিক্ষা দিতেন । অন্য দিকে লেখা সুন্দর করার সাধনা চালাতেন। আজকাল তো মিথ্যা কথা প্রমাণ হলে বন্ধু-বান্ধব বলে, এই একটু চাপা মারলাম। তো মিথ্যা বলা বা চাপা মারা/ সত্য এড়িয়ে চলার অভ্যাস থেকে অফিসের বড় স্যারের নিকট আপনার অবস্থান নষ্ট হতে পারে।
পশ্চিমা লেখক Chris Haroun মিথ্যা শনাক্ত করার কয়েকটি টিপস দিয়েছেন যেমন:
১. একজন মিথ্যাবাদী প্রশ্নের দীর্ঘ উত্তর প্রদান করে। সরাসরি হ্যা অথবা না বলেনা
২. উত্তর দেয়ার সময় আই কন্ট্যাক্ট করেনা
৩. কথা বলার সময় মুখে হাতে দিয়ে থাকে
৪. এ সময়ে তার পা নাড়াচাড়া করে

অসাধারণ হতে লাগবে গতি

গত বছর মাঝবয়সী একটা গ্রুপের সাথে মর্নিং ওয়াক শুরু করেছিলাম। তবে সেটি হেলে-দুলে নয়। ঘাম ঝরানো হাটা। বড় বড় কদম ফেলে। কয়েকদিন ধরে খেয়াল করলাম সিনিয়র এই ব্যক্তিদের গতির সাথে আমার তাল মেলাতে কষ্ট হচেছ। এর মধ্যে ২ জনের সাথে কোনভাইে পেরে উঠছিনা। তারা ২ জনই আমার থেকে প্রায় ১০-১৫ বছরের বড়। একজন ১০ হাজার শ্রমিক নিয়ে পরিচালিত গার্মেন্টস কোম্পানির মালিক। অন্যজনের ফ্যাক্টরিতে ৩ হাজার শ্রমিক কাজ করে। চিন্তার জগতে আলোড়ন ! এই গতি দিয়ে তো তারা বাজিমাত করেছে। প্রতি সেকেন্ডে তারা এগুচ্ছেন। পাশের লোকগুলোর সাথে তাদের ক্রমশ গতির পার্থক্য তৈরি হচেছ। প্রাপ্তির পার্থক্য তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি তাদের নিকট শেয়ার করলাম। দেখলাম খুব মজা পেলেন। যেন তৃপ্তির হাসি। সফলতার হাসি।

চাকরি হারালেই সব শেষ নয়

চাকরি হারিয়েছেন কিন্তু পরবর্তীতে ভিন্ন ইতিহাস তৈরি করেছেন এরূপ কিছু মানুষ আমাদের জন্য ইন্সপায়ারেশন হতে পারে।

Julia Carolyn Child লস অ্যাঞ্জেলসে হোম ফার্নিচার কোম্পানির অ্যাডভারটাইজিং ম্যানেজার ছিলেন। কয়েক মাস পরই তার চাকরি চলে যায়। কিছুদিন গবেষণা সহায়ক হিসেবে স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন। অতপর ফ্রেঞ্চ রান্না শিখেন। আমেরিকানদের জন্য লিখেন ‘মাস্টারিং দ্য আর্ট অব ফ্রেঞ্চ কুকিং’ এবং এ বিষয়ে টিভিতে অনুষ্ঠান করেন। হয়ে উঠেন বিখ্যাত টেলিভিশন আইকন।

পাবলিকেশনে কর্মরত ওয়াল্ট ডিজনি তার অ্যানিমেশননের প্রথম চাকরি হারান এইজন্য যে, তার নিকট ভালো আইডিয়া নেই । তিনি এবং তার কয়েক ভাই মিলে গড়ে তুলেন ডিজনি ব্রাদার্স স্টুডিও। ‘মিকি মাউস‘ ও ‘ডিজনিল্যান্ড’ সৃষ্টি করে বিশ্বখ্যাত হয়ে আছেন তিনি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর লন্ডন অফিসে প্রশাসনিক সহকারী ছিলেন জে কে রাওলিং। অফিসের কম্পিউটারে ব্যক্তিগত লেখালেখির করতে গিয়ে চাকরি হারান। পরবর্তীতে সৃষ্টি করেন বিখ্যাত হ্যারি পটার সিরিজ। তিনি এখন মাল্টিবিলিওনিয়ার লেখক।

অপরাহ উইনফ্রে ছিলেন নিউজ রিপোর্টার। বাল্টিমোর টিভি স্টেশনের প্রডিউসার তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন, কিন্তু ডে টাইম টিভি শো এর উপস্থাপনার জন্য অফার করেন। বাকিটা ইতিহাস। তিনি এখন টেলিভিশন আইকন। ৩ বিলিয়ন ডলারের মালিক।

Sallie Krawcheck ২০১১ সালে নতুন সিইও কর্র্তৃক সংস্কারের অংশ হিসেবে Bank of America থেকে অব্যহতি পান। তখন তিনি ইনভেস্টমেন্ট ম্যনেজমেন্টে ডিভিশনের প্রধান ছিলেন। পরবর্তীতে আমেরিকান নারীদের জন্য Ellevest নামক একটি ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। তার টার্গেট ছিল নারীদের ফাইন্যান্সিয়াল লক্ষ্যগুলোকে সফলতায় রূপ দেওয়া। সিকিউরিটিজ ইন্ডাস্ট্রির রিসার্চ অ্যানালিস্ট হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে।