কখনো কখনো আমরা অল্পতেই দমে যাই। স্বাভাবিকভাবে কোন কাজ সম্পন্ন না হলে আমরা হাল ছেড়ে দেই। বিকল্প পথ অনুসন্ধান করিনা।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়, আমেরিকার একজন বিলিওনিয়ার H. Ross Perot এর ইচ্ছে হল ভিয়েতনামে বন্দী আমেরিকানদের ক্রিস্টমাস উপহার দিবেন। এজন্য কয়েক হাজার প্যাকেট করা হল । শিপিং এর জন্য প্রস্তুত প্যাকেটগুলো। হ্যানয়ে ডেলিভারি করার জন্য তিনি নিজস্ব বোয়িং বিমান নিয়ে যেতে চাইলেন। কিন্তু চলমান যুদ্ধের কারনে তিক্ততা এমনই যে, হ্যানয় সরকার এ বিষয়ে সম্মত হলনা। যখন আমেরিকা তাদের শহর-গ্রাম ধ্বংস করছে, তখন তাদের নিকট থেকে কোন চ্যারিটি গ্রহণ সম্ভব নয়। বিলিওনিয়ার প্রস্তাব দিল যে, আমেরিকান কন্সট্রাকশন ফার্মের মাধ্যমে সেসব নির্মাণ করে দেয়া হবে। হ্যানয় অথোরিটি রাজি হলোনা।
ক্রিস্টমাসের সময়ও কাছাকাছি চলে আসল। উপহারের প্যাকেটগুলো পাঠানো গেলনা। তাতে কিন্তু তিনি দমে গেলেননা। বিকল্প উপায় খুঁজতে লাগলেন। ভাবলেন ভিন্ন দেশ থেকে মেইল করলে কেমন হয়! যেই ভাবা সেই কাজ। তিনি নিজস্ব প্লেন নিয়ে রাশিয়ার মস্কোতে অবতরণ করলেন। মস্কোর সেন্ট্রাল পোস্ট অফিস থেকে উপহারগুলো ভিয়েতনামের ঠিকানায় মেইল করলেন। মজার ব্যাপার, এ প্যাকেটগুলো ইনটেক্ট অবস্থায় ডেলিভারি হয়েছিল।
প্রচেষ্টা ছাড়াই H. Ross Perot উপহার পাঠানোর উদ্যোগ বাতিল করতে পারতেন। বেচারা নাছোড় বান্দা। । বিকল্প উপায় বের করেই উদাহরণ তৈরি করলেন।