নতুন চাকরি। ছেলেটির ঢাকার বাহিরে পোস্টিং হয়। ৩ বছর শেষে হেড অফিসে ট্রান্সফার। ছেলেটির আনন্দের শেষ নেই। কোম্পানির হেড অফিসে বড় বড় স্যারদের সান্নিধ্যে নতুন নতুন বিষয় শিখবে। জয়েন করলো। বড় স্যারের দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিলো। মানে হ্যান্ডশেক। স্যার পদমর্যাদায় নিজেকে অনেক বড়কিছু ভাবলেন। বললেন, হ্যান্ডশেক করার কি আছে। যাও কাজ শুরু কর। ছেলেটি অপমানবোধ করলো। মনে রাখলো অনেকদিন। সময় বয়ে যায়। বড় স্যার রিটায়ারমেন্টে গেলেন। মাঝে মাঝে পূর্বের অফিসে আসেন। একদিন ঐ ছেলেটির দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন। মানে হ্যান্ডশেক। ছেলেটির পূর্বের ঘটনা মনে পড়লো। সেদিন সে হাত বাড়িয়েছিলো। কিন্তু বড় স্যার সৌজন্যতা দেখাননি।
ছেলেটি মনস্থির করলো,আজ আমিও হাত বাড়াবোনা। দেখি স্যারের কেমন ফিল হয়। ছেলেটি ব্যস্ত বলে স্যারকে এড়িয়ে গেলো। বড় স্যার উপরের মহলকে গল্পে গল্পে জানালেন, এত কষ্ট করলাম এই কোম্পানির জন্য। এখন কেউ ঠিকমতো চেনেইনা। প্রিয় পাঠক দু’টি ঘটনাটির কোনোটিই নিশ্চয়ই কাম্য নয়। দুটো হ্যান্ডশেক হতে পারতো।
তবে কর্পোরেট হ্যান্ডশেক নিয়ে ঘাটাঘাটি করে যেটা পেলাম, বড় পদবির মানুষ হ্যান্ডশেক অফার করবে। আর ছোট পদবির মানুষ হ্যান্ডশেক অফার করলে বড়দের উচিত সৌজন্যতা দেখিয়ে হ্যান্ডশেক করা।
– ——-সেই ত মহান লিডার- যে আগে হাতটি বাড়িয়ে দেয় জুনিয়ররে দিকে। তাতে জুনিয়রের মনটা বড় হয়ে যায়, কাজে উদ্যমতা আসে। বান্না হাসান,ব্যাংক কর্মকর্তা