চারিদিকে খুব বেশি কৃত্রিম আলো। মাঝে মাঝে মনে হয় রাতের বুঝি ঘুম নেই। স্মার্টফোনে ফেইসবুক, টুইটার,ইউটিউব চালিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছি দেরি করে। ১২/ ১ টার আগে বিছানায় যাওয়া একটি কমন বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। ২০১২ সালে পল পোগার্ড Los Angeles Times পত্রিকায় let there be dark লেখায় বিষয়টি নিয়ে তার চিন্তা প্রকাশ করেন। তিনি বলছেন আমাদের দেহের অন্ধকার দরকার । অন্ধকার মেলোটোনিন উৎপাদন করে যা নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে । ঘুমের ঘাটতির ফলে ডায়াবটেসি, স্থুলতা, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস এবং হতাশাগুলো ত্বরান্বিত হয়। তার মতে “সংক্ষপ্তি ঘুম” এর একটি প্রধান কারণ হ’ল ’র্দীঘ আলো’। আমরা রাতে কাজ করি অথবা আমাদের ট্যাবলটে, নোটবুক এবং র্স্মাটফোনগুলি নিয়ে বিছানায় যাই। আমাদের জীবনে এই কৃত্রিম আলোর কোনও জায়গা নেই। প্রাকৃতিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যাচ্ছি প্রতিদিন।প্রাকৃতিক অন্ধকারের উপর নির্ভর করে পাখি, পোকামাকড়, স্তন্যপায়ী প্রাণী, মাছ,সরিসৃপ প্রজাতি। তিনি উদাহারণ হিসেেবে বলছেন, ৪০০ প্রজাতরি পাখি যা উত্তর আমেরিকায় রাতের বেলা স্থানান্তরিত হয়, সমুদ্রের কচ্ছপগুলি ডিম দেওয়ার জন্য রাতে উপকূলে আসে। এইরকম আরও উদাহরণ রয়েছে।
তবুও সারা বিশ্বজুড়ে আমাদের রাতগুলো আরও বাড়ছে। আসুন রাতকে প্রাকৃতিক চেহারায় ফিরিয়ে দেই। রাত মানে শান্ত, নিস্তব্ধ এক প্রকৃতি। আলোতে কর্মক্লান্ত মানুষগুলোর জন্য একটু বিরতি। নতুন দিনের প্রস্তুতি।